চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার আলোচিত নাম ক্যাশিয়ার অলি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। থানার ক্যাশিয়ার পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি—অলির নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে নগরীতে সক্রিয় রয়েছে। এ নিয়ে একাধিক পত্রপত্রিকা ও চ্যানেলের শিরোনামেও উঠে এসেছে অলির নাম। এই চক্রের অন্যতম সহযোগী বায়েজিদের নিজাম। কিছুদিন আগে স্বর্ণ ডাকাতির মামলায় কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল নিজাম বাহিনী। পরবর্তীতে ক্যাশিয়ার অলির সহযোগিতায় মুক্তি পেয়ে আবারও চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে তারা। নিজাম নিজেকে গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে পরিচয় দিলেও বাস্তবে তার সঙ্গে কোনো গণমাধ্যমের সম্পৃক্ততা নেই। বরং সাংবাদিক পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেই চাঁদাবাজিকে পেশা বানিয়েছে সে। অভিযোগ রয়েছে অলির ছত্রছায়ায় থেকেই নিজাম বিভিন্ন সময়ে দাপট দেখিয়ে বেড়ায় এবং ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে। স্থানীয় সূত্র জানায় নিজাম বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজির কাজে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নামও ব্যবহার করে। এর মধ্যে বায়েজিদ এলাকার বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত যুবদল নেতা সরোয়ারের নাম ভাঙিয়ে একাধিকবার চাঁদাবাজি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিকরা যখন এ বিষয়ে তথ্য জানতে চান, তখন নিজাম সরোয়ারের নাম ব্যবহার করে তাদের হুমকি দিয়ে ভয় দেখায়। আকবর শাহ থানার আশপাশের এলাকায় ব্যবসা বা অন্যান্য কার্যক্রম চালাতে হলে অলি–নিজাম চক্রের কাছে জবাবদিহি করতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালাতে অনেকেই নীরবে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন অলির বিরুদ্ধে কথা বললেই হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। এমনকি থানার নাম ব্যবহার করেও সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো হয়। এলাকার সচেতন মহল বলছে অলি ও নিজামকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। তাদের মতে, প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপই একমাত্র এই চক্রের দৌরাত্ম্য থামাতে পারে।